ঢাকা, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মকবুলের মরদেহ প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকার ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নিয়ে কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতি। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আহত হন মকবুল। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি কর্মীরা ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ারশের ও রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়।
অন্যদিকে এ সংঘর্ষে মকবুল নিহত হওয়া ছাড়াও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহত মকবুল (৪৫) নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার পদিনের চর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার লালমাটিয়া বাউনিয়াবাধের এ ব্লকের ১২ নম্বর লাইনের ৮ নম্বর টিনসেট বাসায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মকবুলের মরদেহ সনাক্ত করেন তার স্ত্রী হালিমা ও মকবুলের ভাই নুর হোসেন।
জানা গেছে, ময়নাতদন্তের পর হাসপাতাল ও পুলিশের নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা শেষে মকবুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply